-->

এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বৈচিত্র‍্যময় অণু হলো প্রোটিন।প্রোটিন হলো জীবনের ভাষা।

প্রোটিন হলো ঐ বস্তু যা প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে নির্ণয় করে থাকে জীবের লক্ষ্যণীয় বৈশিষ্ট্য। জিনের বেস সিকোয়েন্স ব্যবহার করে সুনির্দিষ্ট পলিপেপ্টাইড তথা প্রোটিন উৎপন্ন করতে দুটি বিশেষ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এর প্রথমটি হলো ট্রান্সক্রিপশন এবং দ্বিতীয়টি হলো ট্রান্সলেশন।

ট্রান্সক্রিপশন হলো DNA নির্দেশিত RNA সংশ্লেষণ। একটু বাড়িয়ে বললে বলা যায়, “RNA পলিমারেজ এনজাইম দ্বারা DNA বেস সিকোয়েন্স কপি করে mRNA সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া হলো ট্রান্সক্রিপশন।” সহজ কথায় DNA থেকে mRNA তৈরি প্রক্রিয়া হলো ট্রান্সক্রিপশন। ট্রান্সক্রিপশনের মাধ্যমে DNA কোড, RNA কোড হিসেবে রাসায়নিকভাবে পুনঃলিখিত হয়।

অন্যদিকে,নিউক্লিক অ্যাসিড থেকে পলিপেপ্টাইড (তথা প্রোটিন) তৈরি করা হলো ট্রান্সলেশন। জিন-DNA থেকে প্রোটিন তৈরির গোপন কোডসমূহ এনকোড করে তৈরি হয় mRNA | mRNA, রাইবোসোম ও tRNA-এর সহায়তায় জিন-DNA থেকে এনকোডেড সিকোয়েন্স অনুযায়ী একটির পর একটি অ্যামিনো অ্যাসিড শৃঙ্খলিত করে পলিপেপ্টাইড (যা পরে কার্যকরী প্রোটিনে পরিবর্তিত হয়) তৈরি করার প্রক্রিয়া হলো ট্রান্সলেশন

যদিও দুটি প্রক্রিয়াই central dogma of biology এর অংশ, তবুও এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। 

ট্রান্সক্রিপশন ও ট্রান্সলেশন এর পার্থক্য নিম্নরূপ:

ট্রান্সক্রিপশন

ট্রান্সলেশন

১.নিউক্লিয়াসে ঘটে।

১.সাইটোপ্লাজমে ঘটে।

২.DNA থেকে mRNA তৈরি হয়।

২.mRNA থেকে প্রোটিন তৈরি হয়।

৩.রাইবোজোম সংশ্লিষ্ট নয়।

৩.রাইবোজোম সংশ্লিষ্ট।

৪.রাইবো নিউক্লিওটাইড ট্রাইফসফেট লাগে।

৪.রাইবো নিউক্লিওটাইড ট্রাইফসফেট লাগে না।

৫.DNA এর ননকোডিং সূত্র Template হিসেবে কাজ করে।

৫.mRNA Template হিসেবে কাজ করে।

৬.RNA পলিমারেজ এনজাইম এ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।

৬.অ্যাকটিভেটিং এনজাইম এ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।

৭.অ্যামিনো এসিড ব্যবহৃত হয় না।

৭.অ্যামিনো এসিড ব্যবহৃত হয়।

-->