বন্ধুরা,আজকে তোমরা জানবে অরবিট ও অরবিটালের পার্থক্য সম্পর্কে।অরবিট ও অরবিটাল- এ দুইটি বিষয় নবম দশম শ্রেণি থেকেই পড়া শুরু হয় কিন্তু অনেকে বোঝেনা।আজকে পার্থক্যের মাধ্যমে তোমাদের কন্সেপ্ট ক্লিয়ার করে নাও।
বোর মডেল :
কোয়ান্টাম তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত বোর মডেলের উল্লেখযোগ্য প্রস্তাব হল—
১. শক্তিস্তর সম্পর্কিত প্ৰস্তাৰ
২. কৌণিক ভরবেগ সম্পর্কিত প্রস্তাব
৩. শক্তির বিকিরণ সম্পর্কিত প্রস্তাব
১. শক্তিস্তর সম্পর্কিত প্রস্তাব: পরমাণুর ইলেকট্রনসমূহ নির্দিষ্ট শক্তির কতকগুলো বৃত্তাকার স্থায়ী করুন নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে আবর্তন করে। এসব কক্ষপথে আবর্তনের সময় ইলেকট্রন কোন শক্তি শোষণ বা বিকিরণ না। এ কক্ষপথগুলো শক্তিস্তর নামে পরিচিত। নিউক্লিয়াস থেকে ক্রমান্বয়ে দূরবর্তী শক্তিস্তরসমূহকে ১ম, ২য়, প্রভৃতি শক্তিস্তর বলা হয়। প্রত্যেক শক্তিস্তর নির্দিষ্ট কোয়ান্টাম (শক্তির ন্যূনতম একক) শক্তি সম্পন্ন। যে শক্তি নিউক্লিয়াস থেকে যত বেশি দূরে তার শক্তি তত অধিক (1 < 2 < 3 < 4 < 5 ......)। শক্তিস্তর সূচক সংখ্যাগুলোকে প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা (n = 1, 2, 3) বলে
২. কৌণিক ভরবেগ সম্পর্কিত প্রস্তাব : একটি নির্দিষ্ট
শক্তিস্তরে পরিক্রমণরত ইলেকট্রনের কৌণিক ভরবেগ নির্দিষ্ট এবং তা h/2π এর গুণিতক। অর্থাৎ, কৌণিক ভরবেগ mvr= nh/2π
এখানে,
m - ইলেকট্রনের ভর
V= ইলেকট্রনের গতিবেগ
r= শক্তিস্তরের ব্যাসার্ধ।
n = 1, 2, 3 প্রভৃতি শক্তিস্তর প্রকাশ করে।
h প্লাংকের ধ্রুবক।
৩. শক্তির বিকিরণ সম্পর্কিত প্রস্তাব : ইলেকট্রন একটি শক্তিস্তর থেকে অপর শক্তিস্তরে স্থানান্তরিত হলে শোষণ বা বিকিরণ ঘটে। ইলেকট্রন উচ্চ শক্তিস্তর থেকে নিম্ন শক্তিস্তরে স্থানান্তরিত হলে শক্তির বিকিরণ এক শক্তিস্তর থেকে উচ্চ শক্তিস্তরে স্থানান্তর ঘটলে শক্তির শোষণ হয়।
কোয়ান্টাম সংখ্যা:
পরমাণুতে উপস্থিত ইলেকট্রনের কক্ষপথের আকার, আকৃতি,ত্রিমাত্রিক দিক বিন্যাস প্রকরণ এবং ইলেকট্রনের নিজ অক্ষের চতুর্দিকে ঘূর্ণনের দিক প্রকাশক সংখ্যা গুলোকে কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে।
কোয়ান্টাম সংখ্যা চার ধরনের :
১.প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা
২.সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা
৩.ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম সংখ্যা
৪.স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যা।
ইলেকট্রনের তরঙ্গ ধর্মের উপর ভিত্তি করেই বিজ্ঞানী হাইজেনবার্গ প্রস্তাব করেন যে, “যেহেতু ইলেকট্রনের কণা ও তরঙ্গ উভয় ধর্মই রয়েছে তাই এর অবস্থান ও কৌণিক ভরবেগের মান একই সময়ে নির্ণয় করা সম্ভব নয়। একটির মান নির্ণয় করতে গেলে অপরটি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।” এরই নাম হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতি (Heisenberg's uncertainty rule).