-->

 বন্ধুরা,আজকে তোমরা জানবে অরবিট ও অরবিটালের পার্থক্য সম্পর্কে।অরবিট ও অরবিটাল- এ দুইটি বিষয় নবম দশম শ্রেণি থেকেই পড়া শুরু হয় কিন্তু অনেকে বোঝেনা।আজকে পার্থক্যের মাধ্যমে তোমাদের কন্সেপ্ট ক্লিয়ার করে নাও।

শেয়ার করতে ভুলো না প্লিজ!

Earn $401 by browsing!!

অরবিট

অরবিটাল

১। “অরবিট" শব্দটির উৎস হচ্ছে বোর প্রদত্ত H পরমাণুর গঠন সংক্রান্ত মতবাদ। এ মতবাদ অনুসারে নিউক্লিয়াসের চারদিকে সুনির্দিষ্ট বৃত্তাকার কক্ষপথে ইলেকট্রনসমূহ আবর্তন করে। এ বৃত্তাকার কক্ষপথসমূহকে অরবিট বলে।


১।“অরবিটাল" শব্দটির উৎস হচ্ছে কোয়ান্টাম বলবিদ্যা। এ বলবিদ্যা অনুসারে নিউক্লিয়াসের চারদিকে কিছু স্থানে ইলেকট্রনসমূহের প্রাপ্তি সম্ভাবনা খুব বেশি। নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে নির্দিষ্ট শক্তিযুক্ত ইলেকট্রন মেঘের উচ্চ ঘনত্ব যেমন 90-95% বিশিষ্ট ত্রিমাত্রিক। অঞ্চলসমূহকে অরবিটাল বলা হয়। প্রকৃতপক্ষে অরবিটাল ছাড়া পরমাণুতে বিভিন্ন উপশক্তিস্তরও বোঝানো হয়।

২।কোনো অরবিটের সর্বাধিক ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা হলো 2n^2।



২। প্রতিটি অরবিটালে বিপরীত স্পিনযুক্ত সর্বাধিক দুটো করে ইলেকট্রন থাকতে পারে।

৩। অরবিট দ্বারা নিউক্লিয়াসের চারদিকে দ্বিমাত্রিক বৃত্তাকার পথে ইলেকট্রন আবর্তন করার এলাকাকে বোঝায়।


৩। অরবিটাল দ্বারা নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে ত্রিমাত্রিক স্থানে (X, Y, Z-অক্ষ বরাবর) ইলেকট্রন আবর্তন করে বোঝায়।

৪।ইলেকট্রনের অরবিটসমূহ বৃত্তাকার (circular)। 

৪। বিভিন্ন অরবিটালের আকৃতি বিভিন্ন। যেমন s অৱৰিটাল গোলক আকৃতির, p অরবিটাল দুটি লোববিশিষ্ট ডাম্বেলের মতো; অরবিটাল ডাবল ডাম্বেলের মতো; প্রতি d অরবিটালে চারটি লোব থাকে।

৫।অরবিটসমূহ প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা n এর সাথে সম্পর্কিত। n = 1, 2, 3, 4 ইত্যাদি পূর্ণ সংখ্যা হয়।


৫। অরবিটালসমূহ প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা n এবং সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা l এর সাথে সম্পর্কিত। প্রকৃতপক্ষে এর সাথে চৌম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যা m দ্বারা অরবিটালসমূহের সংখ্যা নির্ণীত হয়।

৬। অরবিটসমূহকে K, L, M, N, O প্রভৃতি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা, n = 1 হলে K অরবিট, n = 2 হলে L অরবিট; এভাবে অরবিটসমূহ চিহ্নিত হয়।


৬।।সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা, দ্বারা অরবিটালসমূহকে s,p,d, f, g দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। আরো সূক্ষ্মভাবে প্রকাশের জন্য এ সব প্রতীক চিহ্নের সাথে প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা ও বিভিন্ন অক্ষের সাথে এ সব অরবিটালের দিকস্থিতিও লেখা হয়, যেমন 1s, 2s, 2px 2py অরবিটাল।

৭। বোর পরমাণুর অরবিটে একই সময়ে আবর্তনশীল ইলেকট্রনের অবস্থান ও ভরবেগ নির্ণয় সম্ভব বলে ধারণা দেয়া হয়; যা হাইজেনবার্গের নীতি বিরুদ্ধ।

৭। অরবিটালে একই সময়ে ইলেকট্রনের সঠিক অবস্থান ও ভরবেগ নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। এটি হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতি সমর্থন করে।









সহায়ক তথ্যঃ

বোর মডেল : 
কোয়ান্টাম তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত বোর মডেলের উল্লেখযোগ্য প্রস্তাব হল—
১. শক্তিস্তর সম্পর্কিত প্ৰস্তাৰ
২. কৌণিক ভরবেগ সম্পর্কিত প্রস্তাব 
 ৩. শক্তির বিকিরণ সম্পর্কিত প্রস্তাব
১. শক্তিস্তর সম্পর্কিত প্রস্তাব: পরমাণুর ইলেকট্রনসমূহ নির্দিষ্ট শক্তির কতকগুলো বৃত্তাকার স্থায়ী করুন নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে আবর্তন করে। এসব কক্ষপথে আবর্তনের সময় ইলেকট্রন কোন শক্তি শোষণ বা বিকিরণ না। এ কক্ষপথগুলো শক্তিস্তর নামে পরিচিত। নিউক্লিয়াস থেকে ক্রমান্বয়ে দূরবর্তী শক্তিস্তরসমূহকে ১ম, ২য়, প্রভৃতি শক্তিস্তর বলা হয়। প্রত্যেক শক্তিস্তর নির্দিষ্ট কোয়ান্টাম (শক্তির ন্যূনতম একক) শক্তি সম্পন্ন। যে শক্তি নিউক্লিয়াস থেকে যত বেশি দূরে তার শক্তি তত অধিক (1 < 2 < 3 < 4 < 5 ......)। শক্তিস্তর সূচক সংখ্যাগুলোকে প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা (n = 1, 2, 3) বলে
২. কৌণিক ভরবেগ সম্পর্কিত প্রস্তাব : একটি নির্দিষ্ট
শক্তিস্তরে পরিক্রমণরত ইলেকট্রনের কৌণিক ভরবেগ নির্দিষ্ট এবং তা h/2π এর গুণিতক। অর্থাৎ, কৌণিক ভরবেগ mvr= nh/2π
এখানে,
m - ইলেকট্রনের ভর
V= ইলেকট্রনের গতিবেগ
r= শক্তিস্তরের ব্যাসার্ধ।
n = 1, 2, 3 প্রভৃতি শক্তিস্তর প্রকাশ করে।
h প্লাংকের ধ্রুবক।
৩. শক্তির বিকিরণ সম্পর্কিত প্রস্তাব : ইলেকট্রন একটি শক্তিস্তর থেকে অপর শক্তিস্তরে স্থানান্তরিত হলে শোষণ বা বিকিরণ ঘটে। ইলেকট্রন উচ্চ শক্তিস্তর থেকে নিম্ন শক্তিস্তরে স্থানান্তরিত হলে শক্তির বিকিরণ এক শক্তিস্তর থেকে উচ্চ শক্তিস্তরে স্থানান্তর ঘটলে শক্তির শোষণ হয়।


কোয়ান্টাম সংখ্যা: 
পরমাণুতে উপস্থিত ইলেকট্রনের কক্ষপথের আকার, আকৃতি,ত্রিমাত্রিক দিক বিন্যাস প্রকরণ এবং ইলেকট্রনের নিজ অক্ষের চতুর্দিকে ঘূর্ণনের দিক প্রকাশক সংখ্যা গুলোকে কোয়ান্টাম  সংখ্যা বলে।
কোয়ান্টাম সংখ্যা চার ধরনের :
১.প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা
২.সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা
৩.ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম সংখ্যা
৪.স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যা।


হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতি :
 ইলেকট্রনের তরঙ্গ ধর্মের উপর ভিত্তি করেই বিজ্ঞানী হাইজেনবার্গ প্রস্তাব করেন যে, “যেহেতু ইলেকট্রনের কণা ও তরঙ্গ উভয় ধর্মই রয়েছে তাই এর অবস্থান ও কৌণিক ভরবেগের মান একই সময়ে নির্ণয় করা সম্ভব নয়। একটির মান নির্ণয় করতে গেলে অপরটি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।” এরই নাম হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতি (Heisenberg's uncertainty rule).
অবস্থান্তর মৌল ও এর ধর্ম
"ইলেকট্রন বিন্যাস পর্যায় সারণির মূল ভিত্তি "
তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের সাতকাহন
EMR বর্ণালিগাথা
নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ও MRI
স্থান কালের চতুর্মাত্রা
33 সংখ্যাটির বিশেষত্ব কী?
-->